• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

দেলদুয়ারে এক জমিতে শশা, তরমুজ ও বাঙ্গী চাষ করে সফলতা পেয়েছে শাকিল

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১ মে ২০২১  

 টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গোমজানি গ্রামের কৃষিবিদ শাকিল আহমেদ এক জমিতে শশা, তরমুজ ও বাঙ্গী চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। পরীক্ষামুলকভাবে চাষ করা তিনটি ফলেরই ভলো ফলন হয়েছে।

জানায়ায়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে বিএসসি পাশ করা শাকিল আহমেদ। তিনি কৃষিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নিজের পিতার জমিতে প্রথমবারের মত শশা, বিদেশী ব্লাক বেরী জাতের তরমুজ ও বাঙ্গীর চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সারা ফেলেছেন। অপরদিকে তরমুজ চাষ এ অঞ্চলে এবারই প্রথম। নিজে কৃষিবিদ হওয়ায় অন্য কারো পিছনে ঘুরতে হয়নি তাকে। একসাথে এক জমিতে তিনটি ফলের চাষ করে সফলতা পাওয়ায় তিনি ব্যাপক আত্মবিশ্বাসী।

তবে লাভের আশায় অনেক কৃষক বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও সার ব্যবহার করলেও কৃষিবিদ শাকিল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন কীটনাশক ব্যবহার করেনি। সেক্স ফেরোমান ফাঁদ ব্যবহার করে পোকা দমন করেছে। জমির উর্বরতার জন্য ব্যবহার করছেন প্রাকৃতিক জৈব সার। ইতিমধ্যে তিনি শশা বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তরমুজ ও বাঙ্গী বিক্রি শুরু করবে।
 
কৃষিবিদ শাকিল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের আবাদি জমির পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। আর এসব কিছু চিন্তা করেই আমি উদ্যোগ গ্রহণ করি। কিভাবে কম জমিতে বেশি ফসল উৎপাদন করা যায়। এরপর আমি আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে প্রথমে শশা চাষ করে সফল হই। পরে শশার কয়েকটি জাত নিয়ে কাজ করি এবং এলাকার আরো কৃষকদের এই শশা চাষে উদ্ধুদ্ধ করি। পরে একই জমিতে আধুনিক ভাবে শশা, তরমুজ ও বাঙ্গী চাষ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে আমি সফল হয়েছি। আগামীতে দেশের কৃষি খাতের জন্য এবং কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই।

এলাকাবাসী ও আগ্রহী চাষীরা বলেন, কৃষিবিদ শাকিলের এ সফলতার খবর ছড়িয়ে পরেছে সর্বত্র। তার ফল-ফসলের প্রজেক্ট দেখতে দুর-দুরাত্ব থেকে আসছেন লোকজন। কৃষিবিদ শাকিলের পরামর্শ ও সহযোগীতায় অন্য কৃষক ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা ঝুঁকবেন বিভিন্ন ফল-ফসলের আবাদের দিকে।

শাকিলের বাবা মো. আব্দুল করিম বলেন, আমার ছেলের এ ধরনের কাজে আমি অনেক খুশি। আগামীতে তাকে আরো জমি দিবো যেন সে তার ইচ্ছামত চাষাবাদ করতে পারে। তার এই কর্মকান্ড দেখার জন্য অনেক কৃষক, বেকার যুবক ও সাধারণ মানুষরা আমার বাড়িতে আসছে। আমার ছেলে তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছে কিভাবে তারা চাষ করবে। এ দেখে আমি খুব খুশি।

দেলদুয়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো: শোয়ের মাহমুদ বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষিবিদ শাকিলকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। আগামীতেও তাকে সার্বিকভাবে সকল ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। দেলদুয়ারে কৃষিবিদ শাকিলের মতো সকল শিক্ষিত যুবকরা শুধু চাকরীর পেছনে না ছুটে কৃষির দিকে ঝুঁকে তবে দেশের বেকারত্ব দুর হওয়ার পাশাপাশী লাভবান হবে কৃষি খাত।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল