• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৩  

এ ভূখণ্ডে নেমে এসেছিল ঘন তমসাচ্ছন্ন এক রাত। ১৯৭১ সালে এ রাতে ঢাকা শহরের আলো নিভিয়ে যে অপারেশন সার্চলাইটের অতর্কিত হত্যাযজ্ঞে মেতেছিল হানাদার বাহিনী, মর্মন্তুদ সেই রাতের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল পর্যন্ত ‘গণহত্যার কালরাত্রি সমাবেশ ও আলোর মিছিল’ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বঙ্গবন্ধু গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কথা সাহিত্যিক জাফর ইকবাল, সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, প্রজন্ম একাত্তরের সাবেক সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা।

প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনীর তন্ময় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। মুনীর চৌধুরীর পুত্র। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর।

দীপু মনি বলেন, একটা অপশক্তি আমাদের স্বাধীনতার চর্চাকে রুখে দেয়ার চেষ্টা করে। তারা শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত করে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।

এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৫৩টি মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিল বের করা হয়। জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীদের কণ্ঠে আগুনের পরশমণি গানের সুরে আলোর মিছিলে অংশ নেন সকল স্তরের মানুষ।

রাত সাড়ে ১০টায় মশাল ও মোমবাতি হাতে ‘আলোর মিছিল’ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের গণকবরে উপস্থিত হন সবাই। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও মোমবাতি নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে নিহত শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

এর আগে রাত সাড়ে নয়টায় এ আয়োজন শুরু হয়। এ সময় গান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত: গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। সভার শুরুতে গণহত্যার ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

রাত সাড়ে দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জগন্নাথ হল গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জগন্নাথ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা উপস্থিত ছিলেন।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি ছাত্রলীগের: জাতীয় গণহত্যার দিবসে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগ। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ২৫মার্চের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী, বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। গণহত্যা বিষয়টি বাংলাদেশ সংবিধানে আলাদা অনুচ্ছেদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। যেভাবে জার্মানির গেস্টাপো বাহিনী রাজনীতি করার সুযোগ পায় না, তেমনি যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ দাবি জানান তিনি।

গণহত্যাকে যারা তাচ্ছিল্য করে রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়ন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল