• সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৬ ১৪৩০

  • || ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

যেসব শর্তে মোটরসাইকেল চলবে মহাসড়কে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণে ‘খসড়া মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা’ করেছে সরকার। এতে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজার মতো উৎসবের আগে-পরে ১০ দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। এছাড়া মহাসড়কে মোটরসাইকেলে আরোহী বহন এবং ১২৬ সিসি ইঞ্জিনের নিচে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
খসড়াটি শিগগিরই অনুমোদন পেতে পারে বলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান উদযাপনের সময় মহাসড়কে দূরপাল্লার যাত্রায় মোটরসাইকেলের চলাচল বহুগুণে বেড়ে যায়। এতে মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি হয়। অধিকাংশ দুর্ঘটনায় হতাহত হয়ে থাকে। জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে চলাচলের উদ্দেশ্য থাকলেও বর্তমানে তা মহাসড়কসহ সর্বত্র চলাচল করতে দেখা যায়।

ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজা ইত্যাদি পার্বণকালীন আগে ও পরে মোট ১০ দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। মহাসড়কে সর্বনিম্ন ১২৬ সিসি ইঞ্জিন বা সমতুল্য ক্ষমতার (‘ল’ সিরিজ) মোটরাইকেল চলাচল করতে পারবে অর্থাৎ মহাসড়কে ১২৬ সিসি ইঞ্জিনের চেয়ে নিম্ন ক্ষমতার কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

বেপরোয়া প্রতিযোগিতার মনোভাব, গতি বাড়ানোর প্রবণতা, মোটরসাইকেলের ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা না থাকা, আইন পালনে অনীহা, মোবাইল ফোন ব্যবহার ইত্যাদিকে মোটরসাইকেলজনিত দুর্ঘটনা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে নীতিমালায় দেখানো হয়েছে। এ কারণে সড়ক নিরাপত্তার উন্নতির জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিন অধ্যায়ের এই নীতিমালার উদ্দেশ্য হলো, মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করা; মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা এবং মোটরসাইকেল চালকের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। এসব উদ্দেশ্য অর্জনে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের (স্পোর্টস বাইক) কমানো এবং অপেক্ষাকৃত কম গতির মোটরসাইকেল (স্কুটি) বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালনাকালে চালক কোনো আরোহী বহন করতে পারবে না। চালককে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি (চেস্ট গার্ড, নি গার্ড, এলবো গার্ড, গোড়ালি ঢাকা জুতা বা কেডস, সম্পূর্ণ আঙুল ঢাকা গ্লাভস এবং ফুলপ্যান্ট, ফুল শার্ট) ব্যবহার করতে হবে। হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সনদ, ট্যাক্স-টোকেন ইত্যাদি) এবং রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্রেট ও আরএফআইডি ট্যাগ ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।

নীতিমালার দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৬ নম্বর ধারায় ‘মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ’-এর কথা বলা হয়েছে। ১৪টি উপধারার মধ্যে দুটিতে বলা আছে, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজা ইত্যাদি পার্বণকালীন আগে ও পরে মোট ১০ দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। মহাসড়কে সর্বনিম্ন ১২৬ সিসি ইঞ্জিন বা সমতুল্য ক্ষমতার (‘ল’ সিরিজ) মোটরাইকেল চলাচল করতে পারবে অর্থাৎ মহাসড়কে ১২৬ সিসি ইঞ্জিনের চেয়ে নিম্ন ক্ষমতার কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

অন্য উপধারায় বলা হয়েছে, মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালনাকালে চালক কোনো আরোহী বহন করতে পারবে না। চালককে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি (চেস্ট গার্ড, নি গার্ড, এলবো গার্ড, গোড়ালি ঢাকা জুতা বা কেডস, সম্পূর্ণ আঙুল ঢাকা গ্লাভস এবং ফুলপ্যান্ট, ফুল শার্ট) ব্যবহার করতে হবে। হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সনদ, ট্যাক্স-টোকেন ইত্যাদি) এবং রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্রেট ও আরএফআইডি ট্যাগ ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।

মোটরসাইকেল চালনাকালে চালক ও আরোহী উভয়কেই সঠিকভাবে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত হেলমেট পরতে হবে। মহাসড়কে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলে এবিএস (অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম) থাকতে হবে। মোটরসাইকেল বাঁ লেনে চালাতে হবে। মোটরসাইকেল ফুটপাতে চালানো যাবে না। বৃষ্টির সময় অতি সহজে থামানো যায়, এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। মোটরসাইকেল চালনাকালে হঠাৎ গতি বাড়ানো, থামানো বা দ্রুত মোড় নেয়া যাবে না।

নীতিমালায় আরো উল্লেখ আছে, মোটরসাইকেল চালনাকালে চালক ও আরোহী উভয়কেই সঠিকভাবে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত হেলমেট পরতে হবে। মহাসড়কে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলে এবিএস (অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম) থাকতে হবে। মোটরসাইকেল বাঁ লেনে চালাতে হবে। মোটরসাইকেল ফুটপাতে চালানো যাবে না। বৃষ্টির সময় অতি সহজে থামানো যায়, এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। মোটরসাইকেল চালনাকালে হঠাৎ গতি বাড়ানো, থামানো বা দ্রুত মোড় নেয়া যাবে না।

কুয়াশায় লো-বিম বা ডিপার জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ করতে হবে। মোটরসাইকেল চালনাকালে নির্ধারিত গতিসীমা মেনে চলতে হবে। রাতে মোটরসাইকেল চালনাকালে রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে এবং মোটরসাইকেল চালনাকালে ফার্স্ট এইড কিট বহন করতে হবে।

কুয়াশায় লো-বিম বা ডিপার জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ করতে হবে। মোটরসাইকেল চালনাকালে নির্ধারিত গতিসীমা মেনে চলতে হবে। রাতে মোটরসাইকেল চালনাকালে রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে এবং মোটরসাইকেল চালনাকালে ফার্স্ট এইড কিট বহন করতে হবে।

এ বিষয়ে রোড সেফটির নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নীতিমালাটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কমবে। তবে এতে কিছু ভালো দিকের পাশাপাশি অনেকগুলো অযৌক্তিক বিষয় আছে। কেবল বাইকের ওপর নিয়ন্ত্রণারোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়। গণপরিবহনেও শৃঙ্খলা আনতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে নজরদারি বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদযাত্রায় দেশে ৩৭২টি সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের ৩৮ দশমিক ৭৫ শতাংশই মোটরসাইকেল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দুজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালাটি’ এখনো খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর এটি চূড়ান্ত করা হবে। এতে নীতিমালার বিভিন্ন ধারা-উপধারায় পরিবর্তন আসতে পারে। ঈদ ও পূজার সময় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ১০ দিনের কমও হতে পারে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল