ঘোড়াশালে এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা, নির্মাণ কাজ ৮০ ভাগ সম্পন্ন
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা হবে এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা। এরই মধ্যে এর নির্মাণ কাজ ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান, বিসিআইসির প্রকৌশলী ও ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা প্রজেক্টের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক।
তিনি বলেন, দেশে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বাড়াতে নরসিংদীর পলাশে নির্মিত হচ্ছে এশিয়ার মহাদেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা। এটি বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পের একটি। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রজেক্ট। যার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। আর বছরে উৎপাদন হবে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন।
প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের ১০ মার্চ। শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। কারখানাটি উৎপাদনে এলে এখান থেকে পাওয়া যাবে বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। আমদানি নির্ভরতা কমে ৫ ভাগের ১ ভাগে নেমে আসবে।
বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। আধুনিক আর পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে কারখানাটি। যাতে খরচ হবে সারে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ১৮০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা আসবে নির্মাতা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে। কারখানাটি যৌথভাবে নির্মাণ করছে জাপানের মিটসুভিসি হেবি ইন্ডাস্ট্রিজ ও চায়না প্রতিষ্ঠান সিসি সেভেন।
এটি নির্মাণে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশে যত সার কারখানা আছে তাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড অর্থাৎ যে গ্যাসটা পরিবেশকে দূষিত করে, সেই গ্যাস আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু সার কারখানা নয়, দেশের সবগুলো পাওয়ার প্লান্টেও এই দূষিত গ্যাসগুলো আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এটিই বাংলাদেশের প্রথম সার কারখানা হবে, যেখানে দূষিত গ্যাসগুলো আকাশে ছেড়ে না দিয়ে ধরে প্রজেক্ট প্রসেজের মধ্যে এনে অতিরিক্ত ১০ ভাগ ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হবে।
সম্মিলিতভাবে লেটেস্ট টেকনোলজি ব্যবহার করার প্রেক্ষিতেই প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার তৈরি করা হবে। আগে যেখানে (ফিল) ইউরিয়া অর্থাৎ ছোট ছোট দানা ব্যবহার করা হতো এখন বড় বড় দানা ব্যবহার করা হবে। কারণ বড় দানার ইউরিয়া সার পরিবেশ বান্ধব।
ছোটগুলো এখন আর পৃথিবীতে নেই। কারণ এটা পরিবেশকে দূষিত করে। আর গাছ কিন্তু একসঙ্গে নাইট্রোজেন নিতে পারে না। দানাদার ইউরিয়া সারের সুবিধা হলো জমিতে আস্তে আস্তে নাইট্রোজেন পায় আস্তে আস্তে গ্রহণ করে। তিন বেলার খাবার যেমন একসঙ্গে দিলে খাওয়া যায় না, ভাগ ভাগ করে খেতে হয়। অর্থাৎ তিন বেলাই ক্ষুধা লাগবে তিন বেলাই খাব এইভাবে। প্লান্টের খাবার হলো নাইট্রোজেন, যেটাকে স্লো রিলিজ ফার্টিলাইজার বলা হয়। তাতে সে আস্তে আস্তে খেতে পারে। তার পুষ্টিটাও পরিপূর্ণ হয়।
আগে যে (প্রিল) ইউরিয়া ছিল সেখানে নাইট্রোজেন একসঙ্গে রিলিজ হতো। তাতে যেটুকু প্রয়োজন হতো আর বাকিটুকু আকাশের দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দূষিত করে ফেলতো পরিবেশকে। এই সার কারখানাটির ন্যায় এখন থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি সার কারখানা পরিবেশ বান্ধব হয়ে গড়ে উঠবে।
দেশি এবং বিদেশি শ্রমিক সব মিলিয়ে একসঙ্গে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। বর্তমানে সরকারকে ইউরিয়া সার আমদানিতে প্রতি বছর ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, এটি উৎপাদনে আসলে আর তা দিতে হবে না।
বাংলাদেশে বছরে ২৫ লাখ টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হলেও এটি উৎপাদনে আসলে ২০ লাখ টন পাওয়া যাবে। আর বাকি ৫ লাখ টন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। অর্থাৎ ৫ ভাগের ৪ ভাগ বাংলাদেশে উৎপাদন হবে। মোট কথা ৮০ ভাগ দেশে উৎপাদন আর ২০ ভাগ বিদেশ থেকে আনতে হবে। এটি উৎপাদনে আসলে দেশের ৫ ভাগের ৪ ভাগ কৃষকের চাহিদা পূরণ হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ৯৬৮ জন স্থায়ীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষের।
এই মেগা প্রকল্পের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে যে পরিমাণ ইউরিয়া সার আমদানি হয়। সে ক্ষেত্রে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন সার কম আমদানি করতে হবে। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক। স্থানীয়ভাবে বেকারত্ব অনেকটাই কমে আসবে। যারা ব্যবসায়ী আছেন নতুন করে ব্যবসার সুযোগ পাবেন। দীর্ঘদিন দুটি কারখানা বন্ধ থাকার কারণে এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রজেক্টকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কৃষকরা খুব সহজেই সার পাবে। সবচেয়ে বেশি আমাদের এলাকার মানুষের মঙ্গল বয়ে আনবে। পরিবহনসহ বিভিন্ন ব্যবসার সুযোগ হবে। পলাশ উপজেলা আরো অনেক উন্নত হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্মাণ কাজে এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। শতভাগ সেফটি মেন্টেন করে কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ আগামী ২০২৩ সালের নভেম্বরে শেষ হয়ে ডিসেম্বর উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করছি।
- ঈদুল আজহা: ঢাকার দুই সিটিতে বসছে ২০ পশুর হাট
- বৃষ্টি চেয়ে রাজধানীতে হাজারো মুসল্লির দোয়া
- তাপ কমাতে দৈনিক ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি
- বগুড়ায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
- লালমোহনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন
- কুমিল্লায় পানিতে ডুবে মারা গেল ৪ শিশু
- টেকনাফে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
- মিতু হত্যা: শেষ হলো ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
- যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি
- শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের
- পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমানতালে উন্নয়নের গতিধারা এগিয়ে চলছে
- মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান ছিল অনন্য
- জিআই পণ্যের গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে
- নীলুফা ইসলামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
- এপ্রিলে পানিতে ডুবে রাজশাহীতে ১৬ জনের মৃত্যু
- হেরোইন বহনের দায়ে ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
- কুয়াকাটায় এক কোরাল সাড়ে ৩২ হাজারে বিক্রি
- পুকুরে ভাসছিল অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ
- শরীয়তপুরে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে নামাজ আদায়
- চুয়াডাঙ্গায় পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ
- নেত্রকোণায় নাশকতা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- লাশ পরিবহনে ১০ হাজার টাকা করে দিল প্রশাসন
- মেট্রোরেল সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি
- রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- বঙ্গোপসাগরে জাহাজডুবি: ভেসে থাকা ১১ নাবিককে উদ্ধার, নিখোঁজ ১
- বাজিতপুরে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- মৌলভীবাজারে নাশকতা মামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ নতুন ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- আগামীতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- ভেন্ডিং মেশিনে পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট, আর নয় টিকিটের লাইন
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- রেলসেতুতে যুক্ত হলো যমুনার দুই পার
- এবার ৪৫ টাকা কেজিতে চাল ও ৩২ টাকায় ধান কিনবে সরকার
- এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
- কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে