বঙ্গবন্ধুর ১৯ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য হচ্ছে সোহরাওয়ার্দীতে
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২২
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। রাজধানীর ঐতিহাসিক এই স্থানটি ১৯৭১ সালে পরিচিত ছিল রেসকোর্স ময়দান হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এই ময়দানে লাখো বাঙালির সম্মিলন ঘটে ৭ মার্চ। এই উত্তাল জনতার সামনে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। সেই স্মৃতি ধারণ করে ঐতিহাসিক ওই ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য নির্মিত হবে। এ ভাস্কর্যের উচ্চতা হবে ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বেদী ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক সমাবেশের পাশাপাশি আরও একটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটে। মুক্তিযুদ্ধে বীর বাঙালির কাছে হেরে যাওয়ার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন এই রেসকোর্স ময়দানেই আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাদের আত্মসমর্পণের ওই স্থানেও সেই মুহূর্তের একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য হবে। এই ভাস্কর্যের উচ্চতা হবে ১৫ ফুট এবং বেদী ৮ ফুট।
এজন্য ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পের আওতায় ওই দুটি ভাস্কর্যসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। ভাস্কর্য দুটির নকশা হয়ে গেছে। সংশোধিত প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) কামরুন নাহার বলেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য নির্মিত হবে। ভাস্কর্যের উচ্চতা হবে ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বেদী ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণের স্থানে আত্মসমর্পণের একটি ভাস্কর্য হবে। এই ভাস্কর্যের উচ্চতা হবে ১৫ ফুট এবং বেদী ৮ ফুট। আমরা এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। কমিটি করে নকশা ফাইনাল করেছি। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেই বাকি কাজ শুরু হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়) ’ প্রকল্পটির মোট অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয় ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বিপরীতে মে, ২০২২ পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ১১৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ প্রকল্পের অনুকূলে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে এবং মে, ২০২২ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩২ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য অবকাঠামোর নির্মাণকাজ চলমান। অবকাঠামোর মধ্যে ভূগর্ভস্থ কার পার্কিং, ধারণ ক্ষমতা ৫০০টি, এর ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে, এন্ট্রি ও এক্সিট লুপ নির্মাণকাজ চলমান, ভৌত অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ।
প্রকল্পের আওতায় কার পার্কিংয়ের উভয় পাশে শিশুপার্কের দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণ কাজের ভৌত অগ্রগতি ৯০ শতাংশ, মসজিদের ফিনিসিং কাজ চলমান, সাবস্টেশন, জেনারেটর ভবন নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় গাড়ি পার্কিং- এরিয়ার উভয় পাশে ওয়াটার ফাউন্টেইন নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, উদ্যান এলাকায় সাতটি ফুড কিওস্ক নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ, ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ, ওয়াটার রিজার্ভার নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি ৯০ শতাংশ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সব কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদন করার তাগিদ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি ২৬৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জানুয়ারি ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নাধীন। প্রকল্পটির পূর্ব নির্মাণকাজ গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ পর্যায়ে প্রকল্পের কিছু খাতের ব্যয় বৃদ্ধি, কয়েকটি নতুন খাত সংযোজন ও ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধিসহ মোট ব্যয় ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩৯০ কোটি ১২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। পুনঃনির্ধারিত ব্যয়ে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে ।
প্রকল্প সংশোধন এবং মেয়াদ বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. হাবিবুল ইসলাম বলেন, ভূগর্ভস্থ কার পার্কিং ও আন্ডারপাস এরিয়ার ভৌত নির্মাণকাজ ৪ হাজার ৭২৬ দশমিক ৭৭ বর্গফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭ মার্চ, ১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ভাস্কর্য এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ এ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ভাস্কর্য রড-সিমেন্ট-কংক্রিটের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। ফুড-কিওস্ক ও আরসিসি ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজের পরিমাণ বৃদ্ধি ও ভূগর্ভস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সংরক্ষণ কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াসহ আনুষঙ্গিক কিছু কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থাপত্য অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রতিনিধি বলেন, উদ্যানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য নির্মাণে প্রায় ১৮ মাস সময় প্রয়োজন হবে এবং সার্বিক কার্যক্রম ২০২৪ মেয়াদে শেষ হবে।
১৯৭১-এ বঙ্গবন্ধুর মহান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের উদাত্ত আহ্বান এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরের উজ্জ্বল স্মৃতিকে সংরক্ষণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন ও ঘটনাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণের স্থান সংরক্ষণসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।
- ড্রোন হামলায় এবার ইসরাইলি ১৪ সেনা আহত
- আট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে
- আজ থেকে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী শুরু
- চলছে হজ কার্যক্রমের প্রস্তুতি, উদ্বোধন ৮ মে
- টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান
- বিএনপির অনেকে ভোটে
- মজিবুর রহমান পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য
- প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল
- আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনুমোদিত সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি : স্পিকার
- ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ
- মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে ডিএনসিসি
- জলাবদ্ধতা দূর করতে বারইপাড়া খাল খনন শেষ করতে হবে: চসিক মেয়র
- সশস্ত্র অবৈধ কোনো সংগঠন থাকবে না : র্যাব মহাপরিচালক
- লালমনিরহাটে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর’ দিবস পালিত
- যারা মুক্তিযুদ্ধ মানেনা তারা স্বাধীন দেশকেও মানে না : কাজী জাফরুল
- মিয়ানমারের আরও ৪৬ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশে
- জয়পুরহাটে ৪০ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী পেল বঙ্গবন্ধু উচ্চ শিক্ষা
- মাদক ব্যবসায় অর্জিত ১৭৮কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ, গ্রেফতার ১২২
- পঞ্চগড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ
- মুজিবনগর দিবসে রাঙ্গামাটিতে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা
- বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে
- তাপদাহ কিছু কিছু জায়গায় কমতে পারে
- আশুলিয়ায় ট্রাক চাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
- মুজিবনগর দিবস টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে মানুষের ঢল
- জয়পুরহাটে বেগুন, শসা, করলাসহ অন্যান্য সবজির দাম কমেছে
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- মেয়ের ক্যারিয়ার গড়তে কত টাকা খরচ করলেন বাবা?
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- সমৃদ্ধি সূচকে ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ
- ইরানের ঢাল হিসাবে আড়ালে রয়েছে যে দুই পরাশক্তি দেশ!
- মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মাহত্যা
- কোরআনের যে দোয়ায় ভালো হয় মাথা ব্যথা!
- মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে
- বকশীগঞ্জে শত বছরের সারমারা অষ্টমী মেলায় মানুষের ঢল
- পারমানবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান!
- পঞ্চগড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ
- মেলান্দহে মুজিবনগর দিবস উদযাপন
- কুড়িগ্রামে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে খালাতো ভাই বোনের মৃত্যু
- তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের তপসিল আজ
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ৩০০ স্টল, কয়েক হাজার প্রাণী, গরুর র্যাম্প শো
- ঘর থেকে পোকামাকড় দূর করার সহজ কিছু উপায়
- প্রবাসী আয়ে সুখবর, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- সিঙ্গাপুর স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরলেন পলক
- বিমানের ঢাকা-রোমের ১৪ ফ্লাইটে ২১০০ যাত্রী পরিবহন
- বান্দরবানে সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৯ সন্ত্রাসী