• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

নতুন ধানে নতুন আশা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩  

বোরো আবাদে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে ধানের নতুন জাত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো দেশে ধান উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কৃষকের কাছে অতি জনপ্রিয় দুই জাত ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ এর স্থান ক্রমেই দখল করে নিচ্ছে। এতে ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে ধানের মোট উৎপাদনও। এবার বোরো মৌসুমে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত নতুন পাঁচটি জাত বেশ সাড়া জাগিয়েছে। 
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত এই নতুন জাতগুলো হলো- ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান ৯৬ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০। মূলত ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ জাত দুটি তিন দশকের পুরনো হয়ে যাওয়ায় এই জাত দুটির বিকল্প হিসেবেই ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অধিক ফলনশীল মোট ১১টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এরমধ্যে এই পাঁচটি জাত মাঠে কৃষকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে এই জাতগুলো আবাদে কৃষক ২৮ থেকে ৩৩ মণ পর্যন্ত ফলন পেয়েছে। যা বিনা ২৫ এর মতোই আশাতীত। সরু ও লম্বা বিনা ২৫ জাতও এ বছর মাঠে ব্রি ২৮ ধানের বিকল্প হিসেবে কৃষকের আস্থা অর্জন করেছে। ফলে বিনা ২৫ এর মতো এই পাঁচটি জাতও কৃষকের গোলা ভরতে নতুন আশা জাগাচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞানীরাও আশা করছেন, আগামীতে এই জাতগুলোই দেশের ধান উৎপাদনে বিপ্লব ঘটানো ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ জাতের বিকল্প হয়ে উঠবে। 
জানা যায়, ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ২৯ এই জাত দুটির বয়স প্রায় তিন দশক হয়ে গেছে। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে এই জাত দুটি মাঠে আবাদের জন্য ছাড় করা হয়। ২০১৫-১৬ সালে এই জাত দুটি মাঠে সর্বোচ্চ এলাকায় আবাদ হয়েছে। এ সময় মোট ধান আবাদের ৭০ শতাংশই ছিল ব্রি ধান ২৮ ব্রি ধান ২৯। দীর্ঘ দিন এই জাত দুটি মাঠে চাষ হওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। যে কারণে এই জাত দুটি আবাদে বিশেষ করে ব্রি ২৮ জাত আবাদে বিভিন্ন স্থানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে এই জাতটি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ফলে কৃষি মন্ত্রণালয় চাইছে, ব্রি ধান ২৮ জাতকে মাঠ থেকে তুলে নিতে। বিকল্প হিসেবে নতুন জাতগুলো মাঠে প্রতিস্থাপন করতে। 
এই পুরনো জাত দুটি প্রতিস্থাপন করার জন্য বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবন করেছে ১৪টি জাত। এরমধ্যে এবারই মাঠে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আবাদ শুরু হয়েছে ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান ৯৬ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ সহ কয়েকটি জাত। তারমধ্যে উল্লেখিত ৫টি জাতের ফলন আশাতীত। এই জাতগুলো ২০১৮-২০২০ সালের মধ্যে উদ্ভাবন করেছে ব্রি। এ বছর বোরো আবাদে এলাকা ভেদে নতুন জাতগুলো গড় ফলন পাওয়া গেছে বিঘা প্রতি ২৮-৩৩ মণ।
উচ্চ ফলনশীল এই জাতগুলোর ওপর ভর করে বাড়ছে ধানের উৎপাদন। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবারের বোরো উৎপাদনে। দেশে এ বছর বোরো উৎপাদন অতীতে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দুই কোটি ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল। তবে আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও ১০ লাখ টন বেশি হবে। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ৩০ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কুশলী ইউনিয়নে রামচন্দ্রপুর গ্রামে দুটি স্থানে মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এই উপজেলায় ৪৮ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা যৌথ জমিতে ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকরা জানান, আগে এখানে ৩৩ শতাংশের বিঘায় ১৮-২০ মণ ধান পাওয়া যেত। এখন সেখানে ধান গবেষণা উদ্ভাবিত (ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান ৯৯ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০) চাষ করে বিঘায় ৩৩ মণেরও বেশি ফলন হচ্ছে। 
উল্লেখ্য, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ চাষ হয়েছে। 
গত ১ মে গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার ধনপুর গ্রামে ব্রি উদ্ভাবিত জাতের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে কৃষকরা জানান, এ বছর ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ২৯ এর পরিবর্তে ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদ হয়েছে। আগের চেয়ে প্রতি বিঘায় অত্যন্ত ১০-১২ মণ ধান বেশি ফলন হয়েছে। কৃষক আরও জানান, ব্রি ধান ৯২ চাষ করে প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ৩৩ মণ, যা কল্পনাতীত। এ জাতের ধান চাষে পানি কম লাগে কীটনাশক লাগে না বললেই চলে।
চলতি বোরো মৌসুমে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধোকড়াকুল এলাকায় ১০০ বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে ব্রি ধান ৯২। বিঘা প্রতি সাড়ে ২৮ মণ ফলন দিয়েছে এ জাতটি। 
গত ৪ মে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালীপাড়া ইউনিয়নের কাজীগ্রামে বোরো ফসল কর্তন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কৃষকরা জানান, এ বার ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ চাষ হয়েছে এলাকায়। এ জাতগুলো চাষ করে বিঘায় ৩০ মণের অধিক ফলন পাওয়া গেছে। 
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের চরগাছিয়া গ্রামে ২০০ বিঘা জমি এবার প্রথমবারের মতো বোরো চাষের আওতায় এসেছে। আগের বছরগুলোতে এই সময় জমি পতিত থাকত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে এবং উপকূলীয় শস্য নিবিড়করণ কর্মসূচির আওতায় ওই ২০০ বিঘা (২৭ হেক্টর) জমিতে ব্রি ধান ৬৭, ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান ৯৭ ও ব্রি ধান ৯৯ চাষ করা হয়। ৩০০ জন কৃষককে বীজ, সেচ, সারসহ সব উপকরণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। ফলে এ বছর মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে ব্রি ধান ৬৭, ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান ৯৭, ব্রি ধান ৯৯ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০। এসব জাতের রেকর্ড ফলন পাওয়া যায়। যেখানে প্রতি বিঘায় ব্রি ধান ৮৯ এর ফলন হয়েছে ৩৭ মণ, ব্রি ধান ৯২ ফলন হয়েছে ৩৩ মণ। এছাড়া ব্রি ধান ৬৭, ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৯৯ হয়েছে প্রতি বিঘায় ২৮ মণ করে। 
গত ১৭ মে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ব্রি ধান ৯২ এবং ব্রি ধান ১০২ ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে কৃষকরা জানান, এবার এই জাত দুটির বাম্পার ফলন হয়েছে। 
বরগুনা সদরে ব্রি উদ্ভাবিত জাতগুলোর বাম্পার ফলন পাওয়া গেছে। ব্রি ধান ৯২ উৎপাদিত হয়েছে বিঘায় (৩৩ শতক) ৩৬ মণ, ব্রি ধান ৮৯ উৎপাদিত হয়েছে বিঘায় ৩৫ মণ, ব্রি ধান ৭৪ উৎপাদিত হয়েছে বিঘায় ৩১ মণ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ উৎপাদিত হয়েছে বিঘায় ২৯ মণ। গত ২৮ এপ্রিল নেত্রকোনার বারহাট্টার চিছড়াকান্দায় ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশ হয়। এ সময়ে ব্রি ধান ৮৯ ও ব্রি ধান ৯২ কর্তন করা হয়। কৃষকরা জানান, এবার এই দুটি জাতের ব্যাপক ফলন হয়েছে। 
গত ১৭ এপ্রিল খুলনায় লবণাক্ত এলাকায় ব্রি ধান ৬৭ এর ফসল কর্তন, মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফলন পাওয়া যায় বিঘায় ২২-২৩ মণ। এছাড়া, গত ১৭ মে রংপুরে ব্রি হাইব্রিড ধান ৫ এর মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে হাইব্রিড জাতটি আবাদে ফলন পাওয়া গেছে হেক্টরে ৯.৫৪ টন। 
ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর জনকণ্ঠকে বলেন, কৃষকের কাছে জনপ্রিয় ব্রি ২৮ জাতের বিকল্প হিসেবে আমরা অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছি। এগুলো হলো- ব্রি ৬৭, ব্রি ৭৪, ব্রি ৮১, ব্রি ৮৪, ব্রি ৮৬, ব্রি ৮৮, ব্রি ৯৬, বঙ্গবন্ধু ১০০, ব্রি ১০১, ব্রি ১০৪ ও ব্রি ১০৫। এই জাতগুলোর সবগুলোই উচ্চ ফলনশীল। দেশের জনপ্রিয় জাত ব্রি ২৮ এর চেয়েও এই জাতগুলো বেশি ফলণ দেয়। আবার ২৮ জাতের চেয়ে সময়ও কম লাগে। আবার প্রতিটি জাতই আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। 
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ব্রি ধান ৭৪ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ জাত দুটি জিঙ্কসমৃদ্ধ। আবার ব্রি ৮১, ব্রি ৮৬, ব্রি ৯৬ জাতগুলো প্রোটিনসমৃদ্ধ। এর মধ্যে ব্রি ৯৬ জাতটিতে ১০.৮ শতাংশ প্রোটিন বিদ্যমান। আবার ব্রি ১০৪ জাতটি সুগন্ধি এবং চিকন ও লম্বা। এই ধানের চাল বাসমতির চেয়েও সরু। ফলনও দেয় হেক্টর প্রতি ৭.৬ টন। 
তিনি বলেন, ব্রি ১০৫ জাতটি হচ্ছে ডায়াবেটিক ধান। দেশের ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতি নজর রেখে এই জাতটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটিও একটি উচ্চ ফলনশীল জাত। এভাবে প্রতিটি জাতই বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। 
ড. মো. শাহজাহান কবীর জানান, এ পর্যন্ত ব্রি ২৯ এর বিকল্প হিসেবে তিনটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এগুলো হলো, ব্রি ৮৯, ব্রি ৯২ এবং ব্রি ১০২। এই জাতগুলোও এখন মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমরা এখন ব্রি ২৮ জাতকে মাঠ থেকে তুলে নিচ্ছি। তবে ব্রি ২৯ জাতকে এখনই তোলা হচ্ছে না। এটি এখনও ব্লাস্টে আক্রান্ত হচ্ছে না। তবে পৃথিবীর সমস্ত জাতেই ব্লাস্ট হয়। ব্লাস্ট প্রতিরোধী ধানের জাত এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আর এবার ব্রি ২৮ জাত ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে সেখানে আগে ফ্লাওয়ারিং হয়েছে। যে সকল এলাকায় ৭ দিন পর ফ্লাওয়ারিং হয়েছে সেসব এলাকায় ব্রি ২৮ জাত ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি। তা সত্ত্বেও আমরা এখন ব্রি ২৮ জাতকে মাঠ থেকে তুলে নেব। কারণ এখন আমাদের হাতে ২৮ জাতের অনেকগুলো বিকল্প জাত আছে। এবারই অনেকগুলো জাত মাঠে গেছে এবং সফলতা দেখিয়েছে। 
নতুন জাতগুলো মাঠে নেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ম্যাপিং করছি কোন জাত কোন এলাকায় ভাল করছে। সব জাত আমরা সব এলাকায় নেব না। যে এলাকায় যে জাত ভাল করবে, সেই এলাকায় সেই জাতকে নিয়ে যাওয়া হবে। তাছাড়া কোনো জাতকে এখন আর আমরা ৫ বছরের বেশি মাঠে রাখব না। কারণ আমাদের পাইপলাইনে এখন অনেক জাত আছে। এরমধ্যে এমনও জাত আছে সাড়ে ৮ট টন থেকে ৯ টন ফলন দিতে সক্ষম। একের পর এক সেগুলো মাঠে আসতে থাকবে। 
তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। একটি কমিটিও হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে। আমরা ম্যাপিং অনুযায়ী বীজ উৎপাদন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে দেব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট বীজ নির্দিষ্ট এলাকায় নিয়ে যাবে। এছাড়া বিএডিসিও বীজ উৎপাদন করে আমাদের ম্যাপিং অনুযায়ী কৃষকের কাছে বিতরণ করবে। ধানের ক্ষেত্রে দেশের মোট উৎপাদনের ৫৮ ভাগ আসে বোরো  মৌসুম থেকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৯ লাখ ৭৬ হেক্টর আর আবাদ হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ হেক্টর। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ১৫ লাখ মেট্টিক টন চাল। তবে আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বোরো উৎপাদন আরও ১০ লাখ টন বেশি হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল