পতিত জমিতে চাষাবাদ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কৃষিমন্ত্রীর পত্র

সরকারী মালিকাধীন  চিনি, পাট, বস্ত্রকল ও রেলের চাষযোগ্য পতিত জমিতে চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে আধা-সরকারি পত্র দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থায় সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে। খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং রেলপথ মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করে কৃষিমন্ত্রী তাঁর আধা সরকারি পত্রে বলেন, বৈশ্বিক প্রতিকূল অবস্থায় সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারি মালিকাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অব্যবহৃত চাষযোগ্য জমিতে খাদ্যশস্য, শাকসবজি, ডাল ও তেলবীজ চাষের উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল ও রেলপথের অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। আবাদের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন।
পত্রে বলা হয়, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। সেই সাথে সার ও জ্বালানীসহ অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় খাদ্য সংকটের আশংকা দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কোন জমি যেন পতিত না থাকে- এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি মন্ত্রণালয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসলের আবাদ এলাকা বৃদ্ধি, বসতবাড়িতে পুষ্টিবাগান স্থাপন ও বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।