পশ্চিম তীর-জর্ডান সীমান্তে গুলিতে ৩ ইসরায়েলি নিহত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও জর্ডান সীমান্তের একটি ক্রসিংয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। নিহতরা হলেন- ইয়োহানান শোরি (৩১), ইউরি বার্নবাউম (৬৫), ও আদ্রিয়ান মার্সেলো পডজামজার। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, হামলাকারী জর্ডানের আল-কারামেহ শহর থেকে একটি ট্রাক করে রোববার সকালে অ্যালেনবি সেতু ক্রসিংয়ে আসেন। এরপর সীমান্ত প্রহরীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। পরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই ট্রাকটিতে কোনো বিস্ফোরক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে ইসরায়েলের জন্য ‘একটি কঠিন দিন’ আখ্যায়িত করেছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে তিনি ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তবে এ হামলার দায় স্বীকার করেনি হামাস। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিহত তিনজনই ইসরায়েলের নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন। তবে তারা ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বা পুলিশের সদস্য নন। জর্ডানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ঘটনার সময় মালামাল খালাসের জায়গা থেকে জর্ডানের অন্তত ১২ জন ট্রাকচালককে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আর ঘটনার পর জর্ডানের সঙ্গে ইসরায়েলের সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। জর্ডান জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করছেন তারা। ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এমন একটি জায়গায় এ ঘটনাটি ঘটেছে, যেখানে জর্ডানের ট্রাকগুলো মালামাল খালাস করে। এ ঘটনার পর দুই দিক থেকেই ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, অ্যালেনবি সেতু ক্রসিং বাদশা হোসেইন সেতু নামেও পরিচিত। এটা পশ্চিম তীর ও জর্ডানের মধ্যে বৈধ পারাপারের একমাত্র পথ। তা ছাড়া জর্ডান থেকে থেকে পশ্চিম তীরে ঢোকার এটিই একমাত্র পথ, যেটি ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে যায়নি।