জামালপুরের প্রথম শহীদ মিনার ও তার ইতিহাস
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০
১৯৫০ সালের শেষ দিকে তৎকালীন জামালপুর মহকুমা শহরে ভাষা আন্দোলন সাংগঠনিক রূপ নেয়। ঐ সময় বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার ও মূলনীতি কমিটির সুপারিশ বাতিলের দাবিতে ওই বছরের ১১ নভেম্বর ডাকা হরতালের হাওয়া তৎকালিন জামালপুরেও লাগে। মূলত সেই ১১ নভেম্বরের ডাকা হরতালের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে জামালপুরের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন বেশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গঠিত হয় ‘জামালপুর মহকুমা রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’।
ওই পরিষদের সভাপতি ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ ছিলেন যথাক্রমে আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষক জহুরুল ইসলাম ও সুজায়াত আলী, সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন মহকুমা আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান মতি মিয়া।
এ ছাড়া আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সৈয়দ আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে ওই পরিষদের সঙ্গে সাধারণ ছাত্ররাও আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন।
জামালপুরে ভাষা আন্দোলনের উজ্জ্বল ইতিহাস থাকলেও তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের রোষের কারণে ভাষাশহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণে বেশ বেগ পেতে হয়। মনোয়ার হুসেন মুরাদ ও ইতিমদদৌলা হিন্দোল সম্পাদিত ‘ভাষা আন্দোলনে জামালপুর’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ১৯৫২ সালের পর প্রতিবছর শহীদ দিবস পালিত হলেও তৎকালীন প্রশাসনের বৈরিতার কারণে স্থায়ী কোনো শহীদ মিনার স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন স্থানে কাঠ বা কলাগাছ দিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে তাতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সংস্কৃতি চালু থাকে।
এরপর তৎকালীন প্রগতিশীল আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু আশেক মাহমুদ কলেজ থেকেই প্রথম শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কলেজের বড় পুকুরের উত্তর-পূর্ব কোনায় ১৯৬৩ সালে জামালপুরের প্রথম শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ সুজায়াত আলী কলেজ ছাত্রসংসদের সহসভাপতি (ভিপি) এস এম সাত্তার, জিএস সামিউল হক, ছাত্রনেতা মো. শাহনেওয়াজ, মোখলেছুর রহমান আনছারী প্রমুখ প্রথম কয়েকটি ইট দিয়ে শহীদ মিনারের বেদির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। পরে ছাত্রসংসদ নেতা ওয়াহেদুজ্জামান সেখানে স্তম্ভ স্থাপন করেন।
জামালপুরের প্রথম এ শহীদ মিনার নিয়ে তৎকালীন মহকুমা কর্মকর্তার (এসডিও) সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের বেশ বিরোধ তৈরি হয়। এমনকি শহীদ মিনার নির্মাণ করলে কলেজের মঞ্জুরি বাতিলের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাষাসৈনিক ও কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা সেই হুমকি উপেক্ষা করেই শহীদ মিনার নির্মাণ শুরু করেন। তাঁরা নিজেদের মধ্য থেকে চাঁদা তুলে ছোট আকারের শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। ১৯৬৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার পর সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সেই শহীদ মিনারেই প্রভাতফেরি শেষে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো। কিন্তু একাত্তর সালে যুদ্ধের সময় শহীদ মিনারটি ভেঙেচুরে যায়।
পরে ১৯৭৩ সালে ছাত্র ইউনিয়ন দয়াময়ীপাড়া শাখা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মণিমেলা খেলাঘর আসরের কর্মীরা স্থানীয় পুনাই পার্কে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নেন। পরে জামালপুর পৌরসভার উদ্যোগে সেখানে স্থানীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি সেই শহীদ মিনারটি সরিয়ে দয়াময়ীপাড়ায় নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী প্রকল্পভুক্ত করে স্থাপন করা হয়েছে বেশ বড় আকারের দর্শনীয় শহীদ মিনার।
‘ভাষা আন্দোলনে জামালপুর’ গ্রন্থের লেখক সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনোয়ার হুসেন মুরাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কলেজের পুকুরপাড়ের প্রথম শহীদ মিনারটি জামালপুরের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য বিষয়। স্থানটি সংরক্ষণ করা দরকার।’
জামালপুরের ভাষা ও মুক্তিসংগ্রাম গবেষণাকেন্দ্রের সদস্যসচিব প্রভাষক আশরাফুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের পুকুরপাড়ে জামালপুরের প্রথম শহীদ মিনারটি জামালপুরের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫৭ বছরেও সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে স্থানটি সংরক্ষণ করা হয়নি। এটি সংরক্ষণ, নতুন শহীদ মিনার স্থাপন এবং সেখানে প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো দরকার।’
- শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী
- ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
- আজ জুমা বার, আজকের দিনে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না
- চুক্তি-ভিত্তিক চাকরির সুযোগ দিচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন কি না যেভাবে বুঝবেন !
- গরমে গোড়ালি ফাটলে যা করবেন!
- কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল
- এবার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ নিপুণের বিরুদ্ধে
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- শিশুদের খাবার সেরেলাক ও নিডো নিয়ে মিললো ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের লোভে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- আবারও দেশের বাজারে সোনার দামে রেকর্ড
- টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করছে: স্পিকার
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের টোল মওকুফ
- সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান বাংলাদেশ-নেপালের
- ঢাকায় চীনের ভিসা সেন্টার
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে বাংলাদেশে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- খালেদা জিয়া মানুষকে ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে
- এক রাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন কাম্য নয় : সেনাপ্রধান
- কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেনি, এটাই দুর্ভাগ্য
- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
- দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স
- স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করার উদ্যোগ নেয়া হবে
- শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে
- বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫৩ জন রিমান্ডে
- ড্রোন হামলায় এবার ইসরাইলি ১৪ সেনা আহত
- আজ জুমা বার, আজকের দিনে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না
- মেয়ের ক্যারিয়ার গড়তে কত টাকা খরচ করলেন বাবা?
- চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি- ধর্মমন্ত্রী
- ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বকশীগঞ্জে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- সমৃদ্ধি সূচকে ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ
- ইরানের ঢাল হিসাবে আড়ালে রয়েছে যে দুই পরাশক্তি দেশ!
- মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মাহত্যা
- মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- কোরআনের যে দোয়ায় ভালো হয় মাথা ব্যথা!
- বকশীগঞ্জে শত বছরের সারমারা অষ্টমী মেলায় মানুষের ঢল
- কুড়িগ্রামে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে খালাতো ভাই বোনের মৃত্যু
- পারমানবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান!
- মেলান্দহে মুজিবনগর দিবস উদযাপন
- পঞ্চগড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী