• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

পুষ্টি গুণে ভরপুর সুপার ফুড ‘দুধ’

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৩  

দুধের সবটুকুই অপরিহার্য পুষ্টি গুণে ভরপুর। শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সবারই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিৎ।
দুধ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচিত। দুধে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ওমেগা – থ্রী, এছাড়া রয়েছে ওমেগা- সিক্সসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ উৎসের ভিত্তিতে দুধকে বলা হয় সুপার ফুড। এতে রয়েছে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ যা শরীরের জন্য অপরিহার্য। এতে প্রচুর পরিমাণ vitamin B-12 রয়েছে, যা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অধিকন্তু, এটি রিবোফ্লেভিনের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ উৎস যা শরীরকে কর্মক্ষম থাকতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে ফসফরাস, যা দেহের টিস্যু এবং কোষ মেরামতের জন্য দারূণ উপকারী।

গরুর দুধের খাদ্য উপাদান ও উপকারিতা

> গরুর দুধের খাদ্য উপাদান: দুধের বিভিন্ন উৎস আছে। তবে আমরা সবচেয়ে বেশি যেই দুধ পান করি তা হলো গরুর দুধ। গরুর দুধ যেমন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর তেমনই এটি সহজলভ্য এবং দামেও সস্তা। বলতে গেলে গরুর দুধ খাদ্য উৎপাদন এর মধ্যে একটি আশীর্বাদ স্বরুপ।

> খাদ্যের প্রধান ছয়টি উপাদানই এক সঙ্গে পাওয়া যায় এই গরুর দুধে। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম বেশি পাওয়া যায়। যা হাড়ের জন্য ও শিশুদের বেড়ে উঠার জন্য খুবই প্রয়োজন। হাড়ের গঠন মজবুত করতে গরুর দুধের ভূমিকা অনবদ্য।

> গরুর দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়াও গরুর দুধে আছে অ্যামাইনো এসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খনিজ পদার্থ, যেমন- ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ, আয়রন,কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম।বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে গরুর দুধের শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে।

> গরুর দুধের কম্পোজিশনে পানি ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ল্যাকটোজ ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, ফ্যাট ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রোটিন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। গরুর দুধ সব পুষ্টির আধার ও শক্তির উৎস।

মহিষের দুধের উপকারিতা

মহিষের দুধের উপকারিতা: গবেষণায় দেখা যায় মহিষের দুধে একাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা থাকতে পারে। যেমন-

> হাড়ের স্বাস্থ্যকে মজবুত করতে পারে: মহিষের দুধ উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে যা আমাদের হাড়ের বিকাশের জন্য অধিক প্রয়োজনীয়।

> অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে পারে।

> হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।

তবে যাদের গরুর দুধে এলার্জি তাদের মহিষের দুধেও এলার্জি থাকতে পারে।

গুড়া দুধের উপকারিতা

> তরল দুধকে বাষ্পীভূত করার মাধ্যমে গুড়া দুধ তৈরি করা হয়। অনেক সময় ছোট বাচ্চা রা গরুর দুধ খেতে চায় না; সেই ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে গুড়া দুধ খাওয়ানো যায়। তরল দুধের মেয়াদ খুব অল্প থাকে তাই বেশিরভাগ মানুষ তরল দুধের পরিবর্তে গুড়া দুধ বেছে নেয় পান করার জন্য।

> বিভিন্ন গবেষণা মতে, তরল দুধের স্থান খুব সহজেই দখল করতে পারে গুড়া দুধ। কারণ এতে রয়েছে একই ধরনের ভিটামিন সমূহ ও মিনারেল সমূহ। যেকোনো মিষ্টি দ্রব্য তৈরিতে গুড়া দুধ ব্যবহার করলে তার স্বাদ আরো বেড়ে যায়। তবে গুড়া দুধের অক্সিডাইজড কোলেস্টেরল যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সর্বোপরি দুধ আমাদের দেহের পুষ্টি জোগানের একটি বড় ভান্ডার। সুস্থ থাকতে হলে একজন মানুষ কে অবশ্যই নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে কারো গরু ও মহিষের দুধে এলার্জি অথবা হজমে সমস্যা হলে তার পরিবর্তে ছাগলের দুধ খেতে হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল