রোহিঙ্গা সংকটের সাত বছর
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৪
গত সাত বছরেও বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ ও টেকসই পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়াতে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে নানা ধরনের উদ্যোগ ও কার্যক্রম চলমান থাকলে ও সমস্যা সমাধানে কোন আশাব্যঞ্জক উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে ক্যাম্পে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাশা ক্রমে তীব্র হচ্ছে এবং ক্যাম্পগুলোতে নানা ধরনের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
মিয়ামারের আভ্যন্তরীণ সংঘাত ও রাখাইনে আরাকান আর্মির (এ এ) সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলমান থাকায় সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা এখনও অনিশ্চিত। চলমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘায়িত হওয়ার পাশাপাশি আরও জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। গত সাত বছর ধরে বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের বোঝা টেনে চলছে। রোহিঙ্গাদের ত্রান সহায়তা কমে আসছে এবং রোহিঙ্গাদের কারনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে। ইউএনএইচসিআরের মতে বর্তমানে রোহিঙ্গা সমস্যাটি আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি পরিস্থিতি নয় এবং তাঁরা একে এখন প্রলম্বিত পরিস্থিতি হিসেবে মনে করে। এর ফলে মানবিক জরুরি তহবিল এখন বিশ্বজুড়ে চলমান অন্যান্য জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে অনেক জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলেও প্রধান দাতা দেশগুলোর সামগ্রিক সাহায্য বাজেট কমে যাওয়ায় অনেক মানবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকট ঘিরে এই সমস্যার সপ্তম বছরে বাংলাদেশ মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হলেও দ্রুত সংকট সমাধানের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের সমন্বয়ে একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গাকে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর ৩২ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসে তালিকাভুক্ত আড়াই শতাধিক রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করে। এই প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের প্রথমে ট্রানজিট কেন্দ্রে এনে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে ট্রানজিট ক্যাম্প ও রিপ্যাট্রিয়েশন ক্যাম্প নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছিল। ৬ সেপ্টেম্বর স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের (এস এ সি) চেয়ারম্যান জেনারেল মিং অং হ্লাইং মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনাকালে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের আন্তরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেও মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিতে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা সম্ভব হয়নি।
২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ১৮তম এশিয়া কোঅপারেশন ডায়লগ (এসিডি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ চলমান রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়। ১৫ নভেম্বর, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার নিয়ে ওআইসি ও ই ইউ উত্থাপিত প্রস্তাবটি জাতিসংঘে গৃহিত হয়। এই প্রস্তাবে ১১৪টি দেশ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে থেকে পর্যাপ্ত অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ এবং আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সব সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি ১০ জুলাই জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৬তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। প্রস্তাবটিতে মিয়ানমারে যুদ্ধরত সব পক্ষকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। মিয়ানমার সংঘাতের কারণে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাবটিতে মিয়ানমারকে তার আন্তর্জাতিক সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। এই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের জন্য অপর্যাপ্ত ও কমে আসা আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা প্রদান করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ২০২৪ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে (জেআরপি) ৮৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার চাওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭ কোটি মার্কিন ডলার চাহিদার বিপরীতে ৫০ শতাংশ বরাদ্ধ পাওয়া গিয়েছিল। এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭.৬ মিলিয়ন,জাপান ২.৬ মিলিয়ন ডলার এবং নরওয়েও ৬.৫ মিলিয়ন ক্রোনার দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছে। সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড জে আর পি’কে সমর্থন জানিয়েছে। সহায়তা তহবিল কমে আসায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সংহতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর চাপ পড়ছে। খাদ্যসহায়তা কমে গেলে রোহিঙ্গারা আরও মরিয়া হয়ে উঠবে, যা ক্যাম্পগুলোতে সহিংসতা ও অস্থিরতা বাড়াবে বলে মনে করে জাতিসংঘ।
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় কানাডা ও ব্রিটেনসহ বিশ্বের ছয়টি প্রভাবশালী দেশ যুক্ত হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের সব জাতিগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় সর্বসম্মতিতে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বাংলাদেশ আইসিজে’তে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছে। ফ্রান্স, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ও মালদ্বীপ এই সাতটি দেশ মামলার প্রতি সম্মতি দিয়েছে। গ্রুপ অব সেভেন (জি-সেভেন) দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯ এপ্রিল ইতালির ক্যাপ্রিতে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তা এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছে। এসব উদ্যোগের কারনে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে বলে অনেকে মনে করছে।
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতির কারনেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর জাতিগত সংখ্যালঘু তিনটি গোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং এ এ একত্রে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে জোট গঠন করে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত হামলা শুরু করে। করার পর ১৩ নভেম্বর এ এ নভেম্বরে ২০২২ থেকে চলমান মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে রাখাইন রাজ্যের পাঁচটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এ এ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমার বিজিপির প্রায় সব কটি ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে এবং বাকি কয়েকটি দখলের চেষ্টা চলছে। চীনের মধ্যস্থতায় সহিংসতা বন্ধে যুদ্ধবিরতির কারনে ১০ জানুয়ারি থেকে উত্তর-পূর্ব শান রাজ্যে সংঘর্ষ সাময়িক বন্ধ হয়। মিয়ানমার জান্তা এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় টিএনএলএ ২৫ জুন থেকে অপারেশন ১০২৭- ফেজ ২ নামে পুনরায় জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ব্রাদারহুড জোটের চতুর্দিক থেকে আক্রমণের কারনে মিয়ানমারে সংঘাতের মাত্রা তীব্রতর হচ্ছে। চলমান এই সংঘর্ষ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রভাব রোহিঙ্গা সমস্যাকে আরও সংকটাপন্ন করছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে এ এ চলমান সংঘর্ষের কারনে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে বি জি পি ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শুরু করে। ১৫, ২৫ এপ্রিল ও ৯ জুন তিন দফায় ৭৫২ জন বি জি পি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১২৩ জন বি জি পি সদস্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। চলমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা বিলম্বিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল বর্তমানে এ এ’র নিয়ন্ত্রণে। এ এ রাখাইনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে যে কোন পরিস্থিতিতে মিয়ানমার সরকারের পাশাপাশি এ এ’কে বিবেচনায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উত্তরণের পর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নতুন করে উদ্যোগ নিতে হবে।
রাখাইন রাজ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমারের সংঘাত বন্ধের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব পক্ষের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। রাখাইনের স্থিতিশীল পরিস্থিতি নিশ্চিত পূর্বক চীনের উদ্যোগে নেয়া চলমান পাইলট প্রকল্পকে সফল করে সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলমান রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল, এই দীর্ঘ সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তা দিন দিন জটিল আকার ধারন করছে। এই সংকটের মোকাবেলায় একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যে কোন পরিস্থিতিতে ত্রান ও আর্থিক সাহায্য চলমান রাখতে জরুরী ভিত্তিতে আপতকালিন ব্যবস্থা গ্রহন ও রিজার্ভ গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা ও নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে এ এ, জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) এবং অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনের (ইএও) সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অর্থবহ রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দাতা সংস্থাগুলো ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদেরকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মিয়ানমারের মুল জনস্রোতে মিশে যাওয়ার সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অবস্থান করার ফলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আগ্রহ যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে রাখাইনে ফিরে যাওয়ার প্রেষণা চলমান রাখতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত এন জি ও ও অন্যান্য সংস্থাগুলোকে এই প্রেষণা প্রদান কার্যক্রম সক্রিয় রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
দীর্ঘ সাত বছর ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। দীর্ঘ মেয়াদি এই সংকট নানা দিক দিয়ে বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়িয়ে চলছে। বিশ্ব জুড়ে চলমান অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এই সমস্যা যেন গুরুত্ব না হারায় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার সপ্তম বছরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজদেশে সম্মানের সাথে ফিরে যাক এবং বাংলাদেশ দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠুক এটাই প্রত্যাশা।
ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন,
এন ডি সি, এ এফ ডব্লিউ সি, পি এস সি, এম ফিল (অবঃ)
মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক
- টেলিটকের সেবার মান উন্নত করার নির্দেশ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের
- আসামি পক্ষে আইনজীবী না থাকলে সহায়তা দেবে লিগ্যাল এইড
- ১১৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলা
- বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
- সীমান্ত হত্যা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে বড় বাধা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের ঋণ শোধ করতে হবে
- ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সম্মান জানাবে সরকার
- বিদেশি নাগরিকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে
- বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার আহবান উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের
- বাংলাদেশে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী ডেনমার্ক
- ভারত সব সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে প্রভুত্বের রাজনীতি করেছে
- দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টার সাথে মার্কিন চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সের স
- বদির ভাতিজা শাহজাহান বসুন্ধরা থেকে আটক
- পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে কানাডার বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- নওগাঁয় হত্যা মামলায় ২৬ জনের যাবজ্জীবন
- বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়ন
- দেশের পাট ও নৌ খাতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চান উপদেষ্টা
- সব নির্বাচনে প্রার্থীদের বয়সসীমা ১৮ নির্ধারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ
- ঢাকা এসেছেন লুৎফে সিদ্দিকী
- বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পেছনে রাখা হবে না
- কিশোর হত্যায় সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজ কারাগারে
- বায়রার নির্বাচন হতে আইনগত বাধা নেই : চেম্বার কোর্ট
- এনটিআরসিএ’র নতুন চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান
- নৌবাহিনী প্রধানের খুলনা ও ভোলা জেলা পরিদর্শন
- গণহত্যার সাক্ষ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ চলছে : চিফ প্রসিকিউটর
- অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ
- সিরাজগঞ্জে দুই ভাগ্নে হত্যা মামলায় মামাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- সড়ক পরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- দেশের ২৫ জেলায় নতুন ডিসি
- বিজিবির সহায়তায় সীমান্তবর্তী ২১টি থানার কার্যক্রম শুরু
- ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল
- ২৪ ঘণ্টায় ৯৮৫৭ বন্যার্তকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী
- নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবো না: ড. ইউনূস
- এবার বন্যার ঝুঁকিতে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চল
- নুরুল ইসলাম মনি বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত
- প্রথম অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা
- পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
- ইসলামপুরে আ.লীগের ৩১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
- মুসলমানদের একে অপরের প্রতি যেসব হক রয়েছে
- রাজ্য সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বাংলাদেশকে অনুসরণ করা হচ্ছে: মমতা
- বন্যার্তদের সহায়তায় নৌবাহিনী সদস্যদের এক দিনের বেতন প্রদান
- ‘ইসরায়েলকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই’
- সিটি গ্রুপে নারী-পুরুষের চাকরির সুযোগ, কর্মস্থল ঢাকা
- অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে রাজি
- ১৬ দফা দাবিতে সাভারে ওষুধ শ্রমিকদের কর্মবিরতি, চাকরিচ্যুত ৫৬
- ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন
- সড়কে কাজ করা শিক্ষার্থীদের সুখবর দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল
- আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস