• বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩০

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

হেলিকপ্টারে চড়িয়ে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করলেন ছেলে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

একেক মানুষের একেক রকমের শখ থাকে। শখের বশে মানুষ কত কিছুই না করে। শখ পূরণে করছেন মানুষ লাখ লাখ টাকা খরচ। এছাড়া মানুষ ভেদে শৌখিনতাও হয় ভিন্ন রকম। সাধ্য অনুযায়ী শখের ধরনও হয় আলাদা।
তেমনি বৃদ্ধা মায়ের ইচ্ছা স্বপ্ন পূরণে তাকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসলেন প্রবাসী মো. ইসমাইল খাঁ। অপর দিকে মা-বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে তাদেরকে হেলিকপ্টারে দিয়ে ঘুরতে ঢাকায় নিয়ে যান সন্তান সোহাগ সরকার।

প্রবাসী ইসমাইল খাঁ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে। মঙ্গলবার মা ও ভাতিজিসহ পাঁচজনকে নিয়ে হেলিকপ্টার চড়ে নিজ এলাকায় এসেছেন ইসমাইল।

উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের প্রস্তাবিত জাহানারা হক মহিলা কলেজ মাঠে তারা নামেন। সেখানে হেলিকপ্টার ও তাদেরকে দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে। স্থানীয়রা বলছেন, সন্তান হয়ে মাকে নিয়ে এভাবে আসা আসলেই গৌরবের বিষয়।

সৌদি আরব প্রবাসী ইসমাইল খাঁ বলেন, আমি দীর্ঘ সময় প্রবাসে রয়েছি। প্রতি বছর গ্রামের বাড়িতে আসি। আমার মাও প্রায় সময় বেড়াতে সৌদিতে আমার এখানে আসেন। একসঙ্গে দেশে আসব বলে মাকে নিয়ে আসা। আমার একটা স্বপ্ন ছিল মাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়িতে আসার। মায়ের স্বপ্ন পূরণ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আজ হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসি। এভাবে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে।

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত দারুণ একটি সেবা চালু করেছে প্রবাসী হেলিকপ্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো প্রবাসী হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আমার এলাকায় এসেছি। আমি প্রবাসীদের আহ্বান জানাবো- কারো সামর্থ্য থাকলে তারা যেন প্রবাসী হেলিকপ্টারের সেবা গ্রহণ করেন।

মনিয়ন্দ এলাকার বাসিন্দা আফজাল হোসেন জানান, গ্রামের লোকজন সকাল থেকেই হেলিকপ্টার ও তাদেরকে দেখতে মাঠের মধ্যে অবস্থান নেন। ইসমাইল খাঁ খুবই মা-বাবার ভক্ত। সব সময় গ্রামের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা করে আসছেন।

এদিকে একই হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেন কর্মমঠ এলাকার সোহাগ সরকার। তার বাবা শফিকুল আলম নোয়াব সরকার ও মাসহ চারজন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় হেলিকপ্টারটি।

সোহাগ সরকার বলেন, আমার মায়ের দীর্ঘ দিনের একটা স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার দিয়ে ঘুরানোর। আমার এলাকায় প্রবাসী হেলিকপ্টার আসবে জানতে পেরে আমি মায়ের এ স্বপ্নটা পূরণ করতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে টিকিট বুকিং করি মা এবং বাবার জন্য। আজ বাবা-মায়ের এ ছোট স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে।

সোহাগের মা জানান, ছেলের কাছে বলেছিলাম আমার স্বপ্ন হেলিকপ্টার দিয়ে ঘুরার। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে আমার ছেলে। আমি এবং আমার স্বামী প্রবাসী হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল