• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পাশে থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২২  

পুঁজিবাজারকে আর্থিক খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ উল্লেখ করে বাজারের সার্বিক স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সচেষ্ট থাকবে বলে আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঘোষিত নিজের মেয়াদের শেষ মুদ্রানীতিতে এ কথা বলেন গভর্নর ফজলে কবির।

প্রায় এক বছর ধরে পুঁজিবাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে নানা বিষয়ে মতভেদের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের সীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনার পদ্ধতিই নয় কেবল, আরও নানা বিষয়ে দুই পক্ষের চিন্তা ভিন্ন।

এ নিয়ে এক দফা সরাসরি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় আরও এক দফায় বৈঠক হলেও দুই পক্ষ কাছাকাছি আসেনি। আর পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দুই পক্ষ সমন্বয় করে কাজ করবে বলে ২০১৪ সালে সরকারের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা দেয়া হয়, সেটি মেনে চলার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।

পুঁজিবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রক্ষণশীল মনোভাবের জন্য যে কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়, তাকে ১৯ বছর পর বদলি করায় নতুন এক ধরনের সমীকরণ অবশ্য তৈরি হয়েছে।

গভর্নর তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুনর্বিনিয়োগযোগ্য পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিলের আকার ১৫৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ১ হাজার ৯ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

‘এই তহবিল থেকে ২৮০ কোটি টাকা ছাড় করার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে প্রতিটি ব্যাংকের বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুবিধার আওতায় রেপোর মাধ্যমে ২১৮ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়াতে সাহায্য করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে বেসরকারি খাতে মুদ্রার সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল নীতি ঘোষণা করা হয়।

এই এক বছরে বেসরকারি ঋণে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে হবে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা যাই হোক না কেন, এই অর্থবছরে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ।

এই প্রবৃদ্ধি করার পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে করোনার বিধিনিষেধের কারণে বেশ কয়েক মাস অর্থনীতির চাকা থমকে থাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ঋণ সরবরাহ অবশ্য বাড়ছে।

ঋণ সরবরাহ কিছুটা লাগামের কারণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। বেসরকারি ঋণে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কমানোর পাশাপাশি নীতি সুদহার বাড়িয়েও এই লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই হারে ঋণ দিয়ে থাকে, যা ব্যাংকিং খাতে মৌলিক নীতিনির্ধারণী সুদের হার বা রেপো সুদহার হিসেবে পরিচিত।

এক সার্কুলার জারি করে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতির বাড়তি চাপ সামাল দিতে বাজারে অর্থপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন থেকে নীতি সুদহার নির্ধারিত হবে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এর আগে গত ২৯ মে এই সুদহার ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল