• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

পদ্মা সেতু চালু হলে জিডিপিতে যোগ হবে হাজার কোটি ডলার

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২  

পদ্মা সেতু হলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) আরো এক হাজার কোটি ডলার যোগ হবে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এটা বর্তমান ৪৫ হাজার কোটি ডলারের জিডিপির প্রায় আড়াই শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেল—উভয় অংশ চালু হলে দেশের জিডিপিতে ওই অর্থ যোগ হবে।

এ ছাড়া এই সেতু নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে এর তিন গুণ বেশি যোগ হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতুকে শুধু একটি সেতু হিসেবে দেখলে চলবে না; এটি হবে দেশের অর্থনীতির করিডর। ২০৪১ সালের রূপকল্প আছে আমাদের। এতে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নত এবং পরিবেশবান্ধব একটি দেশ হিসেবে দেখতে চাই আমরা। পদ্মা সেতু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। ’

সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে চারটি সুযোগ তৈরি হয়েছে; পরিবহন, বিনিয়োগ, মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য যোগাযোগ বৃদ্ধি। এর ফলে মোংলা ও পায়রা বন্দর দেশের অর্থনীতিতে মূল সঞ্চালকের ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সঙ্গে একীভূত হবে দক্ষিণ-পশ্চািমাঞ্চলের এসব জেলা।

বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুসারে এর মধ্যে ১৩টি জেলা গড় দারিদ্র্যসীমার নিচে। এই অঞ্চলের মানুষকে যদি দেশের মূলধারায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ২১ জেলায় ১৭টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, এতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুকে ইকোনমিক করিডরে রূপান্তর করতে ইস্টার্ন বাইপাস, ঢাকা সার্কুলার রোড করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের আদলে দেশের অন্য মহাসড়কগুলো নির্মাণের পরামর্শ দেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হক। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে ঢাকায় যানজট যাতে না বাড়ে, সে জন্য অনেকগুলো রিং রোড তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ফলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। ’

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এটি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। বাড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যাশা। ’

অর্থনীতিবিদ জায়েদ বখত জানান, বিপুল পরিমাণ ব্যয় করার পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ আসেনি। ব্যাহত হয়নি সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ফলে রাজস্ব আহরণ অনেক বাড়বে। ’

এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল