• শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৯ ১৪৩০

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৪

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
মাদারগঞ্জের সেই বধ্যভূমি: পাকা রাস্তায় চাপা পড়ে আছে ৬শহীদের সমাধি ভূঞাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১ দেওয়ানগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণ মামলার আসামি পিতা গ্রেপ্তার এই বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি -কৃষিমন্ত্রী জামালপুর টেনিস কমপ্লেক্সের শুভ উদ্বোধন করলেন মির্জা আজম এমপি কালিহাতীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন জয়ের সেঞ্চুরিতে শেষ টেস্ট ড্র করলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল মির্জাপুরে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে প্রথম ও চাল উৎপাদনে তৃতীয় বাংলাদেশ বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে প্রথম ও চাল উৎপাদনে তৃতীয় বাংলাদেশ

অনুসন্ধানের নির্দেশ আদালতের

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে এবি ব্যাংকের সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

‘কাগুজে প্রতিষ্ঠানে সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ঋণ, এবি ব্যাংকে ভয়াবহ জালিয়াতি’ শিরোনামে গতকাল বুধবার দৈনিক আমাদের সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আসার পর এদিন দুপুরে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের

গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ, সিআইডি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। দুদকের আইনজীবী হাসান এম এস আজিম আদালতে মত তুলে ধরেন। এবি ব্যাংকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

আমাদের সময়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়- নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত আমদানিকারক দেখিয়ে ৩৫০ কোটি টাকার নন-ফান্ডেড ঋণ অনুমোদন করেছে এবি ব্যাংক। কাগুজে ওই প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিং লিমিটেড। বিপুল অঙ্কের এ ঋণের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ঋণের বিপরীতে জামানত দিয়েছে তৃতীয় পক্ষ এবং ঋণের বিপরীতে যে সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয়েছে, তার মূল্য দেখানো হয়েছে বাজারমূল্যের চেয়েও ১৬ গুণ বেশি। শুধু তাই নয়, ঋণটির দায় গ্রাহক পরিশোধ না করলে তা এলটিআর ও মেয়াদি ঋণে রূপান্তরের সুযোগও রাখা হয়েছে। তদুপরি ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত লঙ্ঘন করে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৬ কোটি টাকার পারফরম্যান্স গ্যারান্টি ইস্যু করা হয়েছে। এটি নজিরবিহীন। আর এ কা-ে নাটের গুরু ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কর্ণধার আলী হায়দার রতন। এই সেই ব্যক্তি যাকে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে রাত ৮টার পর নগদ ২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল এবং সে সময় বিষয়টি সংবাদের খোরাক হয়েছিল। দেশের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক তদন্তে আলোচ্য ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী হিসেবে ঠিকাদারি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কর্ণধার রতনের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। তিনি ব্র্যান্ডউইন গ্রুপ অব কোম্পানিজেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সম্প্রতি ব্যাংকটির গুলশান শাখার অনুমোদিত ঋণ প্রস্তাবটির যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনা করে এ জালিয়াতির ঘটনা উদ্ঘাটন করেছে বিএফআইইউ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল