• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ মিছিল

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২২  

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হেমন্তবাড়ীতে কৃষকের জমিতে থাকা ফুলজাল নদী খননের মাটি জোরপূর্বক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নদী খননের মাটি  তথ্য গোপন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে একটি প্রভাবশালী মহল নিলামে ক্রয় করে। নদী খননের মাটির সঙ্গে এলাকার কৃষকের ফসল সহ জমির মাটিও জোড়পূর্বক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। তথ্য গোপন করে নদী খননের মাটি নিলামে বিক্রি প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি বলেও তারা অভিযোগ করেন এ সময়। 

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, বছর খানেক আগে উপজেলার হেমন্তবাড়ী গ্রামের মধ্যদিয়ে ফুলজাল নদী খনন করে পাউবো। সেই মাটি নদী পাড়ে ও কৃষকের জমিতেও স্তুপাকারে রাখা হয়। গত বর্ষা মৌসুমে পানিতে ওই মাটি অধিকাংশ ধুয়ে নদীতে চলে যায়। বর্ষা পরবর্তীতে অবশিষ্ট কৃষকের জমিতে থাকা মাটিতে তারা নানা জাতের সবজি ও হরেক রকম ফল এবং ফসলের চাষ করে। একটি প্রভাবশালী মহল তথ্য গোপন করে স্থানীয় প্রশাসনের নিলাম কমিটির কাছ থেকে নদী পাড়ের মাটি নিলামে ক্রয় করে। নিলামে ক্রয় করা ঐ প্রভাবশালী মহল বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষকের জমির মাটি ও ফসল কাটতে গেলে গ্রামবাসী বাঁধা দেয়। এ সময় নিলামকারী ও গ্রামবাসীর মধ্যে হট্রগোল বাঁধে। নিলামকারীরা এ সময় গ্রামবাসীকে মারপিট, হামলা ও মামলার হুমকি দেয়। নিলামকারীরা কৌশলে মামলা ও পুলিশের ভয়ভীতি দেখায় গ্রামবাসীকে। প্রভাবশালী মহলের অনিয়ম, দুর্ণীতি, হামলা ও মামলার ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।   

গ্রামের গৃহবধূ ছালমা, রাবেয়া, ফাতেমা, কৃষক ওমর সরকার, সাত্তার ও রহমত আলী জানান, দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আফছার আলী, রুহুল আমিন ও বাবু সহ প্রভাবশালী একটি মহল মাটি বিক্রির ইজারা নেওয়ার নাম করে কৃষকের পৈত্তিক সম্পত্তির ফসল ও মাটি কাটতে জমিতে বেকো লাগিয়ে দেয়। কিছু অংশ কাটার পর জমির মালিকেরা বাঁধা দিলে নিলামকারীরা মালিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। 

তার আরও অভিযোগ করেন, পরে নিলামকারীরা জমির মালিকদের রাস্তা ঘাটে পেলে গুম ও খুনের হুমকি দেয়।

নিলামকারীদের পক্ষে রুহুল আমিন জানান, নদী খননের মাটি নিলামে ক্রয় করে -তারা বিক্রির জন্য গেলে গ্রামবাসী তাদের বাঁধা দেয়। এ সময় জমি মালিকদের সঙ্গে তাদের কিছুটা হট্রগোলের সৃষ্টি হয়।   

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন জানান, উপজেলা নিলাম কমিটি থেকে নদী খননের মাটি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামকারীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর হট্রগোলের খবর পেয়ে নদী খননের মাটি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল