• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

লাইট হাউজ ফরিদপুরের বিশ্ব এইডস দিবস-২০২২ পালন

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২২  

‘অসমতা দূর করি, এইডস মুক্ত বিশ্ব গড়ি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে আজ বৃহষ্পতিবার বিশ্ব এইডস দিবস ২০২২ পালন করেছে লাইট হাউজ ফরিদপুর। এ উপলক্ষ্যে ফরিদপুর স্বাস্থ্য বিভাগ কতৃক আয়োজিত কমূসচীতে অংশগ্রহণ করে লাইট হাউজ। 

জেলা ইনচার্জ মো. পলাশ খানের তত্ত¡াবধানে সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করে লাইট হাউজের কর্র্মী ও সেবা গহণকারীবৃন্দ। র‌্যালীটি জেলারেল হাসপাতালে এসে শেষ হয়। র‌্যালী শেষে জেনারেল হাসপাতালের সভা কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন কার্য়ালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রমহান। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানসিভ জুবায়ের। পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডা. এ. কে. এম. আহসান্জ্জুামান। সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লাইট হাউস ফরিদপুর থেকে মো. পলাশ খান, শাপলা মহিলা সংস্থার পরিচালক চঞ্চলা মন্ডলসহ প্রমুখ। মো. পলাশ খান বলেন, লাইট হাউজ আইসিডিডিআর,বির ব্যবস্থাপনায় ও গেøাাবাল ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় এবং জাতীয় এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম এর সার্বিক তত্ত¡াবধানে ‘প্রায়োরাটাইজড এইচআইভি প্রিভেনশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সার্ভিসেস ফর কি পপুলেশন্স ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের হিজড়া ও ঝুঁকিপূর্ন পুরুষ জনগোষ্ঠিদের আচরণ পরিবর্তন ও এইডস প্রতিরোধে কাজ করছে। তিনি বলেন, আগস্ট ২০১০ খ্রি. থেকে শুরু হওয়া কার্যক্রমটির আওতাধীন লক্ষিত জনগোষ্ঠিদের মাঝে ফরিদপুরে এইচআইভি এইডস সংক্রমিতের সংখ্যা শতকরা একভাগ না হলেও অদ্যাবধি সনাক্তকৃত সংক্রমিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে ধারণা করা যায়না যে তারা এইচআইভি সংক্রমিত হতে পারে। সুতরাং গন্ডিবদ্ধ বা নিদিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠিরাই যে এইচআইভি এইডসে সংক্রমিত হবে এমনটি এখন আর ভাবার সুযোগ নেই। তিনি সরকারী এইচআইভি এইডস পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো স¤পর্কে জনগণকে জানাতে স্বাস্থ্য বিভাগকে আহবান জানান। চঞ্চলা মন্ডল বলেন, শাপলা মহিলা সংস্থা ফরিদপুরে দীর্ঘ বিশ বছর যাবত এইচআইভি এইডস প্রতিরোধ ও সচেতনায় কাজ করছে। ডা. মো. ছিদ্দীকুর রমহান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ আরচণ ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কে একজন অভিভাবক হিসাবে আমাদের সন্তানদের সচেতন করতে হবে। যা লজ্জা বা সামাজিক নানা সীমাবদ্ধতার কারনে আমরা করছি না অথচ এতদ সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের পাঠ্য পুস্তকেও অধ্যায় রয়েছে যা শিক্ষকগণও এড়িয়ে যান। তিনি সর্বস্তরে সচেতনতা সৃষ্টিতে সকলের ভূমিকা কামনা করেন। 
 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল